শহরের
প্রাণকেন্দ্রের একটি
জনপ্রিয় ক্যাফে। সারা
বছরই
কোলাহলে ভরপুর।
এক
সন্ধ্যায়, ক্যাফেটির কোণার
একটি
টেবিলে
চুপচাপ
বসে
আছে
রুদ্র।
এক
হাতে
কফির
কাপ,
অন্য
হাতে
একটি
বই।
দেখতে
বেশ
শান্ত,
কিন্তু
চোখে-মুখে একটা অদ্ভুত
উত্তেজনা।
রুদ্র
একজন
প্রাইভেট গোয়েন্দা। সে
সম্প্রতি এক
অদ্ভুত
মামলার
তদন্তে
নেমেছে। ক্লায়েন্ট, মৃদুলা,
অভিযোগ
করেছেন
যে
তার
ধনী
বাবা
একটি
বিপদজনক প্রেমের জালে
আটকে
গেছেন।
সেই
প্রেমিকা, রেশমি,
নাকি
কোনোভাবে মৃদুলার বাবার
সম্পত্তি দখলের
চেষ্টা
করছে।
রুদ্র
কাজ
শুরু
করল।
প্রথমেই রেশমিকে অনুসরণ। রেশমি
একজন
সুন্দরী, স্মার্ট এবং
রহস্যময়ী মেয়ে।
তার
চলাফেরা, কথা
বলার
ধরন,
সবকিছুতেই একটা
ভিন্ন
আকর্ষণ।
একদিন,
রেশমির
পিছু
নিয়ে
রুদ্র
পৌঁছে
গেল
একটি
অভিজাত
পার্টিতে। সেখানেই রেশমির
সাথে
প্রথমবার সামনাসামনি পরিচয়। রেশমি
রুদ্রকে দেখেই
মিষ্টি
হেসে
বলল,
"আপনার
চোখ
যেন
কিছু
খুঁজছে,
ঠিক
বললাম?"
রুদ্র
একটু
থমকে
বলল,
"আপনার
মতো
রহস্যময়ী একজনকে
দেখলে
তো
চোখে
খোঁজ
করতেই
হবে।"
রেশমি
হেসে
তার
পাশের
চেয়ারে বসতে
বলল।
কথোপকথনে রুদ্র
ধীরে
ধীরে
বুঝতে
পারল,
রেশমি
শুধু
সুন্দরী নয়,
অত্যন্ত বুদ্ধিমতীও।
এরপরের
কয়েকদিন, রুদ্র
বুঝতে
পারল
রেশমি
তাকে
লক্ষ্য
করছে।
আর
রেশমির
দিকে
যতই
এগিয়ে
যাচ্ছে,
ততই
যেন
জালের
মধ্যে
জড়িয়ে পড়ছে।
এক
সন্ধ্যায় রেশমি
রুদ্রকে একটি
নির্জন
রেস্টুরেন্টে আমন্ত্রণ জানাল।
রুদ্র
ভাবল,
আজই
হয়তো
সত্যি
জানতে
পারবে।
রেশমি
তার
দিকে
তাকিয়ে বলল,
"তুমি
কি
জানতে
চাও,
আমি
আসলে
কে?"
রুদ্র
বলল,
"হ্যাঁ।"
রেশমি
হেসে
বলল,
"আমি
তো
তোমারই
ফাঁদে
পড়েছি,
রুদ্র।
আমি
জানি
তুমি
আমার
পিছু
নিচ্ছো। কিন্তু
আমার
মনে
হয়,
তোমারও
তো
আমাকে
জানার
প্রয়োজন নেই।
তুমি
কি
সত্যি
মনে
করো
আমি
কোনো
ষড়যন্ত্র করছি?"
রুদ্র
কিছুক্ষণ চুপ।
তার
সমস্ত
অনুমান
যেন
ধোঁয়াশায় হারিয়ে গেল।
রেশমি
বলল,
"কখনও
কখনও
যা
আমরা
দেখি,
তা
সত্য
নয়।
হয়তো
আমি
শুধু
ভালোবাসতে চেয়েছি, কিন্তু
মানুষ
সেটা
বিশ্বাস করতে
শেখেনি।"
রেশমি
উঠে
চলে
গেল।
রুদ্র
তার
কফির
কাপ
হাতে
নিয়ে
বসে
রইল।
সত্যিই
কি
প্রেম
ছিল,
নাকি
ফাঁদ?
আজও
সেই
প্রশ্নের উত্তর
তার
কাছে
নেই।
শেষ।
No comments:
Post a Comment